শিবগঞ্জে হাতকড়াসহ পালানো রাজু অবশেষে গ্রেপ্তার
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বগুড়া :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে হাতকড়াসহ পালানোর এক মাস পর অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ঢাকার সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প ও র্যাব-৪ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
গ্রেপ্তার রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ গত জুলাই-আগস্টের সহিংসতার মোট ১৪টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১২-এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানির (সিপিএসসি) বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ। তিনি জানান, “রাজুকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়ায় আনা হয়েছে এবং পরবর্তীতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে রাজুকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর রাতে চক ভোলাখাঁ গ্রামের এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু থানায় নেওয়ার পথে তাঁর সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ রাজুকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এছাড়া ওই ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
ঘটনার পর রাজুর সহযোগীদের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের মধ্যে ১১ জন নারী ছিলেন।
পুলিশি অভিযানের পর থেকে চক ভোলাখাঁ গ্রাম প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
© All rights reserved © 2025 Coder Boss