গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিকে পাবনা হতে গ্রেফতার
বগুড়া থেকেমোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ : ঘটনার বিবরনে জানা যায় যে, ভিকটিম মোছাঃ (২২), এর স্বামী প্রায় ০৬ মাস পূর্বে মারা যায়। ঘরে থাকা দু্ইটি বাচ্চা এর লালন পালনের খরচ যোগাতে বগুড়া শহরে নিউ মার্কেট এলাকায় এক বাসায় গৃহপরিচালার কাজ করতে থাকেন। ইতিমধ্যে আসামী মোঃ শাহাদৎ হোসেন এর সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইং ৩১/০৭/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় মোঃ শাহাদৎ হোসেন ভিকটিমকে বিবাহ করবে মর্মে বগুড়া সাত মাথায় আসার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়। ভিকটিম বাসার মালিককে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে আসামী মোঃ শাহাদৎ এর সাথে দেখা করার জন্য সাতমাথায় চলে আসে। আসামী মোঃ শাহাদৎ ভিকটিমকে নিয়ে তাহার ব্যাটারি চালিত অটো যোগে, বগুড়া শহরের বউবাজার, চেলোপাড়া, সাবগ্রাম, শাজাহানপুরের বেজোড়া, মাদলা, জালশুকা এলাকায় নিয়ে ঘুরিতে থাকে। একপর্যায়ে ইং ৩১/০৭/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় শাজাহানপুর থানাধীন জালশুকা পাড় হইয়া জোড়া ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে দাড়ায়। সেই সময় আসামী মোঃ শাহাদৎ এর অজ্ঞাতনামা বন্ধু আসে। ভিকটিমকে একই তারিখ রাত্রী অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় আসামী শাহাদৎ এবং তাহার অজ্ঞাতনামা ০২ জন বন্ধু মিলে শাজাহানপুর থানাধীণ জালশুকা গ্রামস্থ জোড়া ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
তদন্ত
পরবর্তীতে বাদী থানায় মামলা দায়ের করিলে শাজাহানপুর থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-০১/০৮/২০২৫ খ্রিঃ জিআর নং-৩০২/২৫, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/২০২০) রুজু হয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ মাসুদ করিম এর উপর তদন্তভার অর্পন করা হয়। তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ মামলায় ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় আসামী ১। মোঃ শাহাদৎ হোসেন (৩০), পিতা- মৃত পালওয়ান, মাতা- মোছাঃ সোহাগী বেওয়া, সাং- জালশুকা, থানা- শাজাহানপুর, জেলা- বগুড়া এবং তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ আশরাফুল শেখ (৪১), পিতা- মোঃ আফছার আলী শেখ, মাতা- মোছাঃ আছমা বেগম, সাং- জালশুকা, থানা- শাজাহানপুর, জেলা- বগুড়া জেলা- বগুড়াদ্বয়কে ইং ১০/০৮/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকার সময় পাবনা জেলার চাটমোহর থানাধীন ০২ নং আসামী আশরাফুল শেখ এর আত্মীয়ের বাসা হইতে গ্রেফতার করেন।