শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোট বগুড়া জেলা শাখার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বগুড়া :: বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের জাতীয়করণের লক্ষ্যে ৭ অক্টোবর ২০২৫ রোজ মঙ্গলবার বেলা ২. ৩০ মিনিটে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের উদ্যোগে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ কে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য বগুড়া জেলা শাখার শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের উদ্যোগে অধ্যাপক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃত্বে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল হাই। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আলম শাহীন অধ্যাপক ইসহাক আলি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জিয়া অধ্যাপক লুৎফর রহমান রাসেল মন্ডল, অধ্যাপক মোঃ রাসেল ও মোঃ জিল্লুর রহমান সহ প্রমুখ।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :: মাধ্যমিক(৬-১২) মানেই অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার লোক
যদি ভুল না করে বলি তাহলে ২০০৬ সালে মুক্তাঙ্গনের শিক্ষক আন্দোলন ছিল ইতিহাসের সেরা শিক্ষক জমায়েট৷ শিক্ষক সংখ্যা ছিল প্রায় দুই লাখ৷ তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক সমাবেশে এসে শতভাগ বেতন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিলেন৷
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া স্যারকে বিএনপি পন্থী শিক্ষক নেতা হিসেবে সবাই চিনে ও জানে৷ ২০১৩ সালের ৬ মে আওয়ামী লীগ তুখুর শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাঁর একদিনের ডাকে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক শিক্ষক প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিল৷ তৎকালীন নুরুল ইসলাম নাহিদ ঐ রাতেই বাড়ি ভাড়া ৫ গুণও মেডিক্যাল ভাতা দেড়গুণ বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ আসলে ৫ গুণরও দেড়গুণ বলার কারণ হয়ত ছিল মিডিয়াকে বুঝানো যে কত বৃদ্ধ করেছে এবং আন্দোলনের ইতি টানা!
এর পর শিক্ষক আন্দোলন আর তেমন জমে উঠেনি; যদিও গত বছর কাওসার শেখ এর নেতৃত্বে শিক্ষকদের বড়ো জমায়েতসহ দীর্ঘ ৩১দিন আন্দোলন হয়েছেল কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছিলেন- এটি বিএনপির হাওয়া লাগা সমাবেশ৷ তার মানে মাধ্যমিক শিক্ষক আন্দোলন মানেই সর্বদাই একটা ইঙ্গিত থাকতো যে, মাধ্যমিক শিক্ষককেরা বিএনপির লোক মানে সেলিম ভূঁইয়া পন্থী৷ এজন্য শিক্ষকদের কোনো দাবী দাওয়ার প্রতি কখনো বিগত ১৫ বছরের সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি৷ সাজু সাহেব তো ১৫ বছর সরকারের সুড়সুড়ি নিয়ে লাভজনক চেয়ারে বসে থাকলেও কখনো একটা সমাবেশ ডাকতে পারেনি৷ বরং সরকারকে খুশি করতে শিক্ষকদের বেতনের ৪% অতিরিক্ত কর্তনে সহায়তা করেছেন৷
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া স্যারের নেতৃত্ব ও কিংবদন্তি আন্দোলনে সফলতায় অবসর-কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে, ৮০% থেকে ১০০% বেতন উন্নীতকরণ তাঁরই আন্দোলনের ফসল৷ বিএনপি সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের পরপর দুইবার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরই সফল প্রচেষ্ঠায়৷
বাজেট বিহীন শিক্ষকদের ২৫% উৎসব ভাতা চালুকরণ- এটা তিনিই ২০০৪ সালে মাউশি অফিসের জমে থাকে(অলস মানি) থেকে বিএনপি সরকার দ্বারা ঘোষণা করিয়েছিলেন৷ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল পরবর্তিতে সরকার বাজেট করে উৎসব ভাতা শতভাগে উন্নীত করবে৷ কিন্তু ২০ বছর পেরিয়ে গেল ২৫% কে ২৬% ও করেনি সরকার৷ শিক্ষকেরা গত দেড়যুগে প্রায় শতাধিক দিন রাস্তায় নেমেছিলেন অন্তত উৎসব ভাতা শতভাগ করার দাবীতে কিন্তু কিছুই হয়নি৷
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়াই সর্ব প্রথম জাতীয় সংসদে ৩০% সীট শিক্ষকদের জন্য বরাদ্ধের দাবী তুলেছেন৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের চেয়ার থাকে পেছনে৷ তিনি সকল মঞ্চেই জোড়ালোভাবে এগুলোর প্রতিবাদ করেন৷ কমিটি প্রথা বিলুপ্তি তিনি সর্বদাই চেয়ে আসছেন৷
মাধ্যমিক শিক্ষক মানেই সেলিম ভূঁইয়া পন্থী৷ এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় একযোগে সকলগুলো সরকারি হলেও মাধ্যমিক বোনাসও পায়নি৷ এবার আবারো জাগছে শিক্ষক সমাজ৷ সবার মুখে মুখে একই কথা-
”’অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হবে৷ অন্তত এ বাজেটের পূর্বে শতভাগ উৎসব ভাতা আদায়সহ বাড়ি ভাড়া ও মেডিক্যাল ভাতার একটা সুরাহা হবে৷
শুধু আশা ও প্রত্যাশাই নয়, আপনার পাশে সর্বদাই শিক্ষকেরা ছিল এবং থাকবে৷ সকলেরই বিশ্বাস- আপনার দ্বারাই হবে৷
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সমর্থকগোষ্ঠী
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Leave a Reply