মেহেদী হাসান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কুজিশহর ঘুরনগাছ গ্রামের আবুল হোসেন ও নাসিমা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। তারা দুই ভাই ও এক বোন। মেহেদী ব্রাইট স্টার স্কুল থেকে প্রাথমিক ও রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
জানা গেছে, অভাবের সংসারে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় পড়াশোনা বাদ দিতে হয়। মেহেদীকে। সংসারের খরচ জোগাড় করতে কাজ শুরু করে মেহেদী। পরে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালাতে থাকে। মনে ছিল তার বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন তাকে দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরও রাতে ঘুমাতে দিতো না। সেই স্বপ্নের তাড়নায় পরিশ্রমের পাশাপাশি পড়াশুনা করে সে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়। এই ফলাফল তাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
এসএসসি পরীক্ষার পর অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছিল। এ সময় সে কাজের জন্য ঢাকায় চাচাত ভাইয়ের কাছে গিয়ে ওঠে। চাচাত ভাই তার মেধা দেখে কাজ করতে দিলেন না। অনেক বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। পরে ভর্তি হয় দিনাজপুর সরকারি কলেজে। কলেজে ভর্তির পর শুরু করেন টিউশনি। টিউশনি আর বন্ধুদের সহযোগিতায় পাস করেন এইচএসসি। এবারও পেয়েছেন জিপিএ-৫।
বুয়েটে পড়ার সুযোগ পেলে পড়ালেখার খরচ নিয়ে পরিবার চিন্তিত। কিন্তু মেধাবী, পরিশ্রমী মেহেদী দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে পরিবারের হাল ধরার পাশাপাশি দেশসেবা করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী। তার এমন সফলতায় এলাকাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।