• মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বগুড়া : অদ্য ১৮/৮/২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ রোজ সোমবার বেলা ২ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জিয়া প্রজন্ম দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ ভাইয়ের নির্দেশনায় বগুড়া জেলা কর্তৃক আয়োজিত জেলা শাখার সভাপতি এস এ ওহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ জন্মদিন ও কোকোর জন্মদিনের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমাদের সকলকে জিয়ার আদর্শে আদর্শিত হতে হবে এ প্রসঙ্গে তিনি একটি ঘটনাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন ৭২ থেকে ৮০ মধ্যে বাংলাদেশের কিছু এলিট পারসনের জন্য আবাসন বরাদ্দ দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে স্থান নির্ধারণ করা হয়। সেখানে প্রতি প্লটের মূল্য ধরা হয় মাত্র ৬০০০ টাকা। ৬০০০ টাকার আবার তিনটা কিস্তিতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা থাকে ৬ মাস পর পর। প্রথম কিস্তি আসার পর তিনি কিস্তি দিতে পারেন নাই আরো সময় চেয়ে নেন এর সঙ্গে আরও কয়েকজন দিতে পারেন নাই যার কারণে আরো ছয় মাস কিস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরবর্তী ছয় মাস পরেও তিনি কিস্তি দিতে অপারগণ, তাই তিনি লোক মারফত জানিয়ে দেন যে, আমার নামের প্লটটি যেন বাতিল করা হয়, কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন তার জন্মভূমি বগুড়ায় কিছু জায়গা ছিল সেই জায়গাটা বিক্রি করার জন্য চেষ্টা করেন কিন্তু জায়গাটা বিক্রি হয় নাই তাই তিনি টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। এটা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে যে,আমরা যে নেতাকে নেতা হিসেবে মান্য করি তিনি যেমন দুর্নীতি করতেন না। দুর্নীতি করলে তিনি অনেক কিছু করতে পারতেন মাত্র ৬০০০ টাকার জন্য কিস্তি পরিশোধ করতে অপারগ হতেন না। সেই নেতার আদর্শ উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে সৎ থাকতে হবে দুর্নীতি করা যাবে না। কিন্তু এখন দেখা যায় গ্রাম পর্যায়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ে যে নেতা আগে বিড়ি খেতে পারেন না, তিনি এখন বেনসন খান । যিনি রিক্সা ভাড়া দিতে পারতেন না তিনি এখন চার চাকার গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করেন।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিএম ওবায়দুর রহমান বেনু।

মোনাজাত পরিচালনা করেন উক্ত মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোঃ আবু বকর।

সহকর্মীদের মধ্যে ছিলেন আবুল কাশেম, রেজওয়ানুল হক মক্ছু। আরো উপস্থিত ছিলেন রেজাউল হক আব্দুল কাহার সহ প্রমুখ।

সর্বশেষে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী গরুর গোস্তের আলু ঘাটি দিয়ে সকলকে আপ্যায়ন করা হয়।